বিয়ে ছাড়াই কপাল ভর্তি সিঁদুর কেন? নুসরাতকে আক্রমণ নেটাগরিকদের


নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা : তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ও টলিউডের বর্তমান প্রজন্মের বিখ্যাত অভিনেত্রী নুসরাত জাহানের গর্ভাবস্থার খবর আজকাল বিভিন্ন ভাষার সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে উঠছে। সেইসঙ্গেই অভিনেত্রী ট্রোলড হচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। 


নিখিল নুসরাতের সম্পর্কে নিয়ে গুঞ্জনের মধ্যে গর্ভবতী হওয়ার বষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এমন সময় বিস্ফোরণ ঘটান নুসরাত। এক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, নিখিল জৈনের সাথে তার বিয়েই হয়নি। নুসরাত এক বিবৃতিতে বলেন, নিখিলের সাথে আমি সহবাস করেছি, বিয়ে নয়। তাই বিবাহ বিচ্ছেদের প্রশ্ন ওঠেনা। এরপর নেটিজেনরা সমালোচনায় ফেটে পড়ে। নিখিল নুসরাতের রিসেপশনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত এমন একটি ফ্রেমের ছবি পোষ্ট করে প্রশ্ন করেন তাহলে এটা কি বিয়ে ছিল না? কপালে সিঁদুর কেন? যদিও নুসরাতের ঘনিষ্ঠরা বলছেন, নুসরাত রেজিষ্ট্রেশন বিয়ের কথা বলতে চেয়েছেন। বিবাহ বিচ্ছেদ করতে গেলে বিয়েকে রেজিষ্ট্রেশন করাতে হয়। 


বহু নেটিজেনরা প্রশ্ন তুলেছেন, তুরস্কে গিয়ে ড্রিম ওয়েডিং। তুরস্কে এমন রীতিতে বিয়ে বৈধ নয়। এমনকি ভারতীয় আইনে হিন্দু মুসলিমের বিয়ের নিয়ম মেনে তারা বিয়ে করেননি। ফলে বিয়ে যখন হয়নি তখন বিচ্ছেদ কেন? এমন দাবি করে বিয়ে অনুষ্ঠানের মত প্রাচীন রীতিকে কালিমালি করলেন না তো? 


নুসরত শিগগিরই মা হতে চলেছেন এমন খবর প্রকাশ্যে আসতেই জানা গেছে তিনি ৬ মাসের গর্ভবতী।  তবে এই বিষয়ে অভিনেত্রী বা তার দল থেকে এখনও কোনও বিবৃতি দেয়নি। একই সঙ্গে, এই বিষয়ে তার স্বামী নিখিল জৈনের কাছেও কোনও তথ্য নেই।  তিনি বলেন যে, এই শিশুটি তাদের নয়।


 নুসরাতের স্বামী নিখিল বলেছেন যে, তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের দ্বারপ্রান্তে এবং তারা দু'জনই 6 মাস একসঙ্গে নয়, তবে কীভাবে শিশুটি তাদের হতে পারে।  তিনি আরও বলেছিলেন যে নুসরত ও তার মধ্যে কোনও যোগাযোগ নেই।


উল্লেখ্য, নুসরত ও নিখিল ২০১৯ সালে ১৯ ই জুন বিয়ে করেছিলেন। উভয়ই ইসলাম, হিন্দু ধর্ম এবং খ্রিস্টান ধর্মের ঐতিহ্য অনুসারে বিবাহ করেছিলেন, কিন্তু তাদের বিবাহ দীর্ঘস্থায়ী হয়নি এবং এক বছর পর তাদের মধ্যে মতপার্থক্য শুরু হয়েছিল।

Post a Comment

0 Comments